মহাদেব সাহার ‘এই অক্ষরে’ কবিতায় বাংলা অক্ষর বা বর্ণমালা বাঙালি জাতির অনন্য সম্পদ। এই বর্ণমালা বাঙালির প্রাণের সঙ্গে অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে । বাংলা অক্ষর বাঙালির চিত্তকে আনন্দে ভরে দেয়। এই পোস্টে এই অক্ষরে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর – ৭ম শ্রেণির বাংলা লিখে দিলাম।
Table of Contents
এই অক্ষরে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ১। [বোর্ড বইয়ের প্রশ্ন] আর তাই তো কখনো আমি পড়তে দিই নি ধুলো, এই কালো এ-কারে আ-কারে তারা যেন ক্ষেতের সোনালি পাকা ধান, থোকা থোকা পড়ে থাকা জুঁই। তোমার জন্য জয় করেছি একটি যুদ্ধ একটি দেশের স্বাধীনতা। ক. কঠিন পাথরে কী লেখা হয়? খ. ‘এই অক্ষরে মাকে মনে পড়ে’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?-ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের ‘তারা’ ‘এই অক্ষরে’ কবিতার কীসের সাথে তুলনীয়?- ব্যাখ্যা কর। ঘ. “উদ্দীপকের শেষ দুটি চরণে ‘এই অক্ষরে’ কবিতার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবার্থ ফুটে উঠেছে।”- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর। |
উত্তরঃ
ক. কঠিন পাথরে শিলালিপি লেখা হয়।
খ. মায়ের কাছ থেকেই আমরা প্রথম কথা বলতে শিখি। আর সেই ভাষাটা মায়েরই মুখের ভাষা। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, অর্থাৎ মায়ের মুখে শেখা ভাষা। আমরা এই ভাষায়ই প্রথম পড়তে ও লিখতে শিখি। তাই বাংলা পড়তে গেলে মায়ের কথা মনে পড়ে, মায়ের স্নেহময় মুখ চোখে ভেসে ওঠে। আলোচ্য চরণে কবি এই কথাই বলেছেন।
গ. উদ্দীপকের ‘তারা’- ‘এই অক্ষরে’ কবিতার অক্ষরের সাথে তুলনীয়।
বাংলা অক্ষর বাঙালির মনকে আনন্দে ভরিয়ে দেয় এবং তাকে স্বপ্নমুখী করে তোলে। বাঙালির চোখে বাংলা অক্ষর মায়ের রূপ ধারণ করে, কখনো মনে আনে সুখের সুর।
উদ্দীপকের প্রথম চার চরণে বাংলা অক্ষরের গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে। তৃতীয় চরণে ‘তারা’ বলতে কবি বাংলা অক্ষরকেই বুঝিয়েছেন। এই ‘তারা’ আসলে ‘এই অক্ষরে’ কবিতার অক্ষরের মতোই। কারণ উদ্দীপকের চরণে বাংলা অক্ষরকে রক্ষার যে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, ‘এই অক্ষরে’ কবিতাতেও তাই বলা হয়েছে। কারণ বাংলা অক্ষর বাঙালির আত্মার সঙ্গে যুক্ত, যা আত্মীয়-স্বজন সবাইকে কাছে টানে।
ঘ. উদ্দীপকের শেষ দুটি চরণে ‘এই অক্ষরে’ কবিতার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবার্থ ফুটে উঠেছে।- উক্তিটি যথার্থ।
একসময় আমাদের দেশ পরাধীন ছিল। পাকিস্তানি শাসকেরা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ব্যবহার করতে দেয়নি। কিন্তু সচেতন বাঙালিরা এই অধিকার ছিনিয়ে এনেছে।
উদ্দীপকের শেষ দুই চরণে বলা হয়েছে, তোমার জন্য অর্থাৎ বাংলা ভাষার জন্য আমরা জয় করেছি এক যুদ্ধ, পেয়েছি স্বাধীন দেশ। অর্থাৎ ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা শিখেছি সংগ্রাম করতে এবং ন্যায্য অধিকার আদায় করতে। ‘এই অক্ষরে’ কবিতার শেষ চরণেও এই কথাই বলা হয়েছে, যা কবিতার মূল বিষয়।
বাংলা অক্ষর বাঙালির মনে জাগায় অফুরন্ত আশা। এর শক্তিতে অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। উদ্দীপকের শেষ চরণেও এই কথা ফুটে উঠেছে। তাই উক্তিটি ঠিক।
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ২। রফিক বাংলা ভাষা তথা এ ভাষার অক্ষরকে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসে। কারণ এ ভাষার অক্ষর মায়ের মুখের ভাষার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই এ বাংলার বর্ণমালা প্রত্যেক বাঙালির অস্তিত্বের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এজন্য রফিক বাংলাকে প্রাণের ভাষা মনে করে। এ ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করে। ক. আমরা কোন ভাষায় গান লিখে যুদ্ধজয় করেছি? খ. “এই অক্ষরে যেন নির্ঝর ছুটে চলে অবিরাম।” পঙ্ক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকটিতে ‘এই অক্ষরে’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. “উদ্দীপকটির সঙ্গে ‘এই অক্ষরে’ কবিতার প্রথমাংশের বিষয়বস্তুর সাদৃশ্য রয়েছে।”- মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৩। বাংলা মায়ের বুকের দুলাল বাংলা মায়ের আশা তাদের মুখে গানের মতো ছন্দ মধুর ভাষা। এই ভাষাকে রাখতে গিয়ে শহীদ হলো যারা, বাংলা দেশের গানে গানে রইল বেঁচে তারা। ক. ‘ছবি আঁকা পাখির পাখা’ গ্রন্থটি কার? খ. এই ভাষা দিয়ে কীভাবে আমরা যুদ্ধ জয় করেছি? বুঝিয়ে লেখ। গ. উদ্দীপকে ‘এই অক্ষরে’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. “উদ্দীপকটি ‘এই অক্ষরে’ কবিতার সামগ্রিকতা প্রকাশ করে না।”- বিশ্লেষণ কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৪। বাংলা আমার মায়ের ভাষা শহিদ ছেলের দান আমার ভাইয়ের রক্তে লেখা ফেব্রুয়ারির গান। ক. অক্ষর অর্থ কী? খ. “এই অক্ষর আত্মীয়-পর / সকলেরে কাছে টানে”- বুঝিয়ে লেখ। গ. উদ্দীপকের কবিতাংশটি ‘এই অক্ষরে’ কবিতার কোন দিকটিকে প্রকাশ করেছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. “উদ্দীপকটি ‘এই অক্ষরে’ কবিতার একটি বিশেষ দিককে প্রকাশ করেছে মাত্র, সামগ্রিক দিক নয়।” বক্তব্য বিষয়ে তোমার মতামত দাও। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৫। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি। ছেলে হারা শত মায়ের অশ্রু গড়া এ ফেব্রুয়ারি। আমার সোনার দেশের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি। ক. ‘উপমা’ শব্দের অর্থ কী? খ. “শিখি তার কাছে অজানা যা আছে আনন্দে ভরে প্রাণ।” – বুঝিয়ে লেখ। গ. উদ্দীপকটি ‘এই অক্ষরে’ কবিতার কোন দিকটিকে স্মরণ করিয়ে দেয়? ঘ. উদ্দীপকটি ‘এই অক্ষরে’ কবিতার নিগূঢ় অর্থ বহন করে-তোমার মতামতের পক্ষে যুক্তি দেখাও। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৬। মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা মাগো তোমার কোলে তোমার বোলে কতই শান্তি ভালোবাসা আ-মরি বাংলা ভাষা। ক. অবিরাম কী ছুটে চলে? খ. “মন হয়ে যায় নদী”- কবি কেন এ কথা বলেছেন? গ. উদ্দীপকটি ‘এই অক্ষরে’ কবিতার কোন বিষয়টির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে? ঘ. “উদ্দীপকের মূলভাব এবং ‘এই অক্ষরে’ কবিতার মূলভাব একসূত্রে গাঁথা।”- বিশ্লেষণ কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৭। নানান দেশের নানান ভাষা বিনে স্বদেশী ভাষা, পূরে কি আশা? কত নদী সরোবর কিবা ফল চাতকীর ধারাজল বিনে কভু ঘুচে কি তৃষা? ক. ‘নির্ঝর’ শব্দের অর্থ কী? খ. বাংলা অক্ষরকে ঝরনার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কেন? বুঝিয়ে লেখ। গ. উদ্দীপকটি ‘এই অক্ষরে’ কবিতার কোন দিকটিকে প্রকাশ করেছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকটি ‘এই অক্ষরে’ কবিতার মূলভাবকে ধারণ করেছে-মন্তব্যটি যাচাই কর। |
সৃজনশীল প্রশ্নঃ ৮। মাগো, ওরা বলে সবার কথা কেড়ে নেবে তোমার কোলে শুয়ে গল্প শুনতে দেবে না। বলো, মা, তাই কি হয়? ক. রাষ্ট্রভাষা রূপে বাংলাকে প্রতিষ্ঠার জন্য যে আন্দোলন হয়েছিল তাকে কী বলা হয়? খ. পারস্পরিক ভাব বিনিময়ের ক্ষেত্রে মায়ের ভাষার জুড়ি নেই।-ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকে বর্ণিত কিশোর আর মায়ের কথোপকথন ‘এই অক্ষরে’ কবিতার কোন চরণের সাথে মিলে যায় তা ব্যাখ্যা কর। ঘ. খোকার মনে সংশয় দানা বাঁধার কারণটি ব্যাখ্যা কর। |
নিচে উত্তরসহ এই অক্ষরে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন পিডিএফ ফাইল দেওয়া হল।