ইসলাম শিক্ষা ৮ম শ্রেণি ২য় অধ্যায় -ইবাদাত (সব ছকের সমাধান)

পৃথিবীর সকল মাখলুককে মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। আর মানুষ ও জিন জাতিকে শুধু আল্লাহ তা‘আলার ইবাদাতের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। আজকের পোস্টে তোমাদের ইসলাম শিক্ষা ৮ম শ্রেণি ২য় অধ্যায়ের সব ছক সমাধান করে দিলাম।

ইসলাম শিক্ষা ৮ম শ্রেণি ২য় অধ্যায়

যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার প্রিয় বান্দা হতে চায়, তার উচিত বেশি বেশি নফল সালাত আদায় করা। তাই আমরা ফরয, ওয়াজিব ও সুন্নাতে মুয়াক্কাদা সালাত আদায় করার পাশাপাশি আল্লাহ তা‘আলার নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য নিয়মিতভাবে বেশি বেশি নফল সালাত আদায় করবো।

ইবাদাত

পৃষ্ঠা ২৯

‘আমি সপ্তম শ্রেণিতে জেনে যেসব সালাত নিয়মিত চর্চা করি’
(প্রিয় শিক্ষার্থী, উল্লিখিত শিরোনামের আলোকে নির্ধারিত ছকটি তুমি শ্রেণিতে পূরণ করবে। এক্ষেত্রে, তুমি তোমার সহপাঠী বা শিক্ষকের সহায়তা নিতে পারো। পূরণকৃত ছকটি মা-বাবা/অভিভাবকের মতামতসহ পরিবর্তী সেশনে জমা দিবে। )

ক্রমিকসপ্তম শ্রেণিতে জেনে আমি যেসব সালাত নিয়মিত চর্চা করিসালাতের রাকাআত সংখ্যা/
বিশেষ নিয়ম
অভিভাবকের
মন্তব্য/স্বাক্ষর
১.সালাতুল বিতরতিন রাকাআত, তৃতীয় রাকাআতে
দোয়া কুনুত পড়তে হয়।
নিয়মিত পড়েছে।
২.সালাতুল ফজরদুই রাকায়াত ফরজ, দুই রাকাত সুন্নতনিয়মিত পড়ছে।
৩.সালাতুল জুমাদুই রাকায়াত ফরজ ,জুমার নামাজে খুতবা শোনা ওয়াজিব।প্রতি শুক্রবার পড়ছে।
৪.সালাতুল এশাচার রাকায়াত ফরজ, দুই রাকায়াত সুন্নতনিয়মিত পড়ছে।

পৃষ্ঠা ৩৪

পাঠ্যপুস্তকে নিম্নে উল্লিখিত সালাতসমূহ নির্ধারিত সময়ে আদায় করে, নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করি
প্রিয় শিক্ষার্থী, তুমি নিম্নে উল্লিখিত ছক দুটি সঠিক তথ্য দিয়ে মা-বাবা/অভিভাবকের মতামতসহ এক
সপ্তাহ পর জমা দিবে।

ক্রমিকসালাতের নামআদায় করার নিয়ম
১.সালাতুল আওয়াবিন।মাগরিবের নামাযের ফরয ও সুন্নাতের পর ছয় রাকাআত
সালাত।
২.সালাতুল তাহাজ্জুদএশা আদায়ের পর শেষ রাতে দুই, চার, আট বা বারো রাকায়াত করে আদায় করা যায়।
৩.সালাতুল 
ইশরাক
ফজর নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সূর্য উঠার পর দুই রাকায়াত সালাত।
বার/তারিখযে যে নফল সালাতের
আদায় করেছি
যে স্থানে আদায়
করেছি
যে সময় আদায় করেছিঅভিভাবকের
মন্তব্য
শনিবারসালাতুল আওয়াবিনমসজিদেমাগরিবের সালাতের পরপড়েছে
রবিবারসালাতুল আওয়াবিনমসজিদেমাগরিবের সালাতের পরপড়েছে
সোমবারসালাতুল তাহাজ্জুদবাড়িতেশেষ রাতেপড়েছে
মঙ্গলবারসালাতুল তাহাজ্জুদ বাড়িতেশেষ রাতে পড়েছে
বুধবারসালাতুল ইশরাকমসজিদেফজরের সালাতের পরপড়েছে
বৃহস্পতিবারসালাতুল আওয়াবিনমসজিদে মাগরিবের সালাতের পরপড়েছে
শুক্রবারসালাতুল ইশরাকমসজিদেফজরের সালাতের পরপড়েছে

পৃষ্ঠা ৩৫

ইবাদাত অধ্যায়ের সাওম সম্পর্কে আম্পর্কে লোচনার শুরুতে তুমি/তোমরা বিগত রমযান মাসে যেসব
ইবাদাত করেছ, তোমার বন্ধুর সাথে সেসব ইবাদাতের অভিজ্ঞতা বিনিময় করো। তুমি/তোমরা বন্ধুদের সাথে আলোচনা করে বিগত রমযান মাসের স্মৃতিচারণ করে যা যা পেলে, তা নিচের ছকে লিখে ফেলো।

কার্যক্রমসমূহবিগত রমযান মাসে তুমি/তোমরা যা
বিগত রমযান মাসে যে ইবাদাত/আমল বেশি বেশি করেছি।কুরআন তিলাওয়াত।
সাওমের যে কার্যক্রমটি বেশি ভালো লাগে।তারাবির সালাত আদায় করা
বিগত রমযান মাসের স্মরণীয় কোনো মুহূর্ত।এলাকার অসহায় মানুষদের জন্য ইফতারের আয়োজন করেছি।
সাওমের যে শিক্ষা/তাৎপর্য বাস্তব জীবনে চর্চা করি।ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করা , পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা।

পৃষ্ঠা ৩৯

নিজেকে পরিশুদ্ধ করি, রমযান মাসে যে ইবাদাতগুলো অভ্যাসে পরিণত করি
(উল্লিখিত শিরোনামের আলোকে তুমি রমযান মাসের যে ইবাদাতগুলো নিয়মিত পালন করো/
করবে তার একটি তালিকা করো।)

রমযান মাসে যেসব ইবাদাত করিরমযান মাসে যেসব ইবাদাত করবো
পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করি।অর্থসহ কুরআন তিলাওয়াত করবো।
তারাবির সালাত আদায় করি।বেশি বেশি নফল ইবাদত করবো।
তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করি।জিকির, তাসবিহ-তাহলিল ও দোয়া ইস্তেগফার করবো।
বিজোড়  রাতে লাইলাতুল কদর তালাশ করিগরিব অসহায় মানুষদের দান সাদকাহ করবো।

পৃষ্ঠা ৪১

লায়লাতুল কদরের তাৎপর্য জেনেছি, লায়লাতুল কদরের যে যে ইবাদাতসমূহ আমি করবো।
(উল্লিখিত শিরোনামের আলোকে নির্ধারিত ছকটি তোমরা বাড়ি থেকে পূরণ করে নিয়ে আসবে। এক্ষেত্রে, তুমি তোমার পরিবারের সদস্য, সহপাঠী বা শিক্ষকদের সাহায্য নিতে পারবে।)

লায়লাতুল কদরের যে যে ইবাদাতসমূহ আমি করবো:
১. নফল সালাত আদায় করবো।
২. তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করবো।
৩. কোরআন তিলাওয়াত করবো।
৪. বেশি বেশি দুরুদ পাঠ করবো।

পৃষ্ঠা ৪৪

ঈদের দিনে আমাদের করণীয় ও বর্জনীয় কার্যাবলি

উল্লিখিত শিরোনামের আলোকে শিক্ষকের নির্দেশনা মোতাবেক দলে বিভক্ত হয়ে আলোচনা করে ঈদের দিনে করণীয় ও বর্জনীয় দিকগুলোর তালিকা তৈরি করো।

ঈদের দিনে করণীয়ঈদের দিনে বর্জনীয়
সুন্দর পোশাক পরিধানবাজি, পটকা ফোটানো
সুগন্ধি ব্যবহার করাঅশালীন পোশাক পরিধান করা
পরস্পরের সাথে মুসাফাহা ও মুয়ানাকা (কোলাকুলি) করা বাদ্যযন্ত্র বাজানো, নাচানাচি করা

পৃষ্ঠা ৪৬

সাওমের শিক্ষা চর্চা র কৌশল
সাওমের শিক্ষা/তাৎপর্য তোমার বাস্তব জীবনে/দৈনন্দিন কাজে কীভাবে অনুশীলন/ চর্চা করবে তার একটি কর্মপর্ম রিকল্পনা প্রণয়ন করো। (উল্লিখিত কর্মপরিকল্পনা তৈরির ক্ষেত্রে তুমি তোমার মা-বাবা/অভিভাবক/ধর্মীয়জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তির সহায়তা নিতে পারো।)

সাওমের শিক্ষাযেভাবে চর্চা করবোচর্চা করা হয়েছে মন্তব্য
(অভিভাবক)
ভ্রাতৃত্ববোধঅভাবী ব্যক্তিকে সাহায্য করবোচর্চা করেছে
 আল্লাহভীতি আল্লাহর আদেশ মেনে চলবো এবং নিষেধগুলো পরিহার করব।চর্চা করেছে
আত্মশুদ্ধিনিজ পাপের জন্য অনুতপ্ত হব ও পাপ কাজ থেকে দূরে থাকব।চর্চা করেছে
ধৈর্যের শিক্ষাবিপদে আপদে ধৈর্য ধারণ করব।চর্চা করেছে
তাকওয়া অর্জনসকল হারাম কাজ থেকে বিরত থাকবচর্চা করেছে
আত্মনিয়ন্ত্রণনফসের তাড়না ও কুপ্রবৃত্তি থেকে বেঁচে থাকব চর্চা করেছে

পৃষ্ঠা ৬২

যেসব কার্যক্রমের মাধ্যমে হজের ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত আদায় করা হয়। তুমি/তোমরা শিক্ষকের নির্দেশনা মোতাবেক নিচের ছকটি পূরণ কর।

ক্রমিকহজের নিয়মকার্যাবলি
১. ফরযইহরাম বাঁধা, আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা এবং তাওয়াফ জিয়ারত
২.ওয়াজিব‘সাফা ও মারওয়া’ পাহাড়গুলোর মধ্যে সাতবার সায়ি করা। ৯ ই যিলহজ আরাফার ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করা। ১০-১২ যিলহজ শয়তানকে জামরায় পাথর নিক্ষেপ করা , মাথামুন্ডন করা,  মক্কার বাইরের হাজীদের জন্য বিদায় তাওয়াফ করা।
৩. সুন্নাতইহরামের পূর্বে গোসল করা, পুরুষদের সাদা রংয়ের ইহরামের কাপড় পড়া, তালবিয়াহ পাঠ করা ,৮ই যিলহজ দিবাগত রাত মিনায় অবস্থান করা, ছোট ও মধ্যম জামারায় কংকর  নিক্ষেপের পর দোয়া করা ইত্যাদি।

পৃষ্ঠা ৬৯

হজের ধর্মীয়, সামাজিক তাৎপর্য/শিক্ র্য ষার একটি তালিকা তৈরি করো। এক্ষেত্রে তুমি তোমার পরিবারের সদস্য, ধর্মীয় জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তির সহায়তা নিতে পারো।

হজের ধর্মীয় তাৎপর্যহজের সামাজিক তাৎপর্য
গুনাহ মাফমুসলমানদের মাঝে পারস্পরিক সৌহার্দ্য।
আল্লাহর সান্নিধ্য সন্তুষ্টি অর্জনহজ থেকে মানুষ ধৈর্য ও ত্যাগের মতো মহৎ গুণাবলী অর্জন করে।
আল্লাহর নির্দেশ পালনহজ সাম্য ও সাম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করে।
জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত প্রাপ্তিহজ একতা ঐক্য মনোভাব ফুটিয়ে তোলে।
এক ইমামের অনুসরণ করে জানিয়ে দেয় আমরা ঐক্যবদ্ধপাপ মোচন ও পূণ্য অর্জন, বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব ও ভৌগোলিক জ্ঞান লাভ করা।

Related Posts