‘আম আঁটির ভেঁপু’ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস পথের পাঁচালী থেকে নেওয়া একটি অংশ, যেখানে ছোট্ট অপু ও তার দিদি দুর্গার শৈশবের সরল আনন্দ, দুষ্টুমি, ও দারিদ্র্যের মধ্যেও তাদের কৌতূহল ও জীবনপ্রেম ফুটে উঠেছে। এই পোস্টে আম আঁটির ভেঁপু জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর লিখে দিলাম।
আম আঁটির ভেঁপু জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১। অপু কী নিয়ে খেলছিল?
উত্তরঃ টিনের বাক্সে রাখা ছোটখাটো জিনিস নিয়ে
২। অপুর কাঠের ঘোড়ার অবস্থা কেমন ছিল?
উত্তরঃ রং-ওঠা ও পুরনো
৩। দুর্গা অপুকে কী নিয়ে ডাকল?
উত্তরঃ নারকেলের মালা ও কচি আম দেখানোর জন্য
৪। দুর্গা আম কোথা থেকে পেয়েছিল?
উত্তরঃ পটলিদের বাগান থেকে
৫। অপুর পিস্তলের দাম কত ছিল?
উত্তরঃ দু’পয়সা
৬। দুর্গা অপুকে কী আনতে বলল?
উত্তরঃ তেল ও নুন
৭। অপু কীভাবে তেল আনতে রাজি হলো?
উত্তরঃ নারকেলের মালায় ঢেলে আনার শর্তে
৮। দুর্গা কেন লঙ্কা আনতে বলেনি?
উত্তরঃ কারণ লঙ্কা মা উঁচু জায়গায় রাখে, অপু নাগাল পায় না
৯। দুর্গা অপুর কথা বন্ধ করতে কী করেছিল?
উত্তরঃ চোখ টিপে ইঙ্গিত দিয়েছিল
১০। সর্বজয়া দুর্গার কাছে কী জানতে চেয়েছিল?
উত্তরঃ সে বাইরে গিয়েছিল কি না
১১। অপুর বাবা কী কাজ করতেন?
উত্তরঃ গোমস্তার কাজ
১২। অপুর বাবা কী প্রস্তাব পেয়েছিলেন?
উত্তরঃ গাঁয়ে গিয়ে বসবাসের বিনিময়ে জমি পাওয়ার।
১৩। দুর্গা কোথায় বসে নিজের জমানো জিনিস দেখতে লাগল?
উত্তরঃ কাঁঠাল গাছের নিচে।
১৪। দুর্গা কী জিনিস বের করল আঁচল থেকে?
উত্তরঃ শুকনো রড়ার বিচি।
১৫। বিচিগুলো দেখে দুর্গা কী ভাবল?
উত্তরঃ কিছু অপুকে দেবে, কিছু পুতুলের বাক্সে রাখবে
১৬। অপুর বাবা কাকে তাগাদা দিতে গিয়েছিলেন?
উত্তরঃ দশঘরার এক মাতবরকে
১৭। অপুর মা বাড়িতে কী রান্নার আয়োজন করছিলেন?
উত্তরঃ শসা কাটা ও আটা ভেজানো
১৮। অপুর মা দুর্গাকে কেন বকছিলেন?
উত্তরঃ সারাদিন বাইরে ঘোরা ও বাড়ির কাজে সাহায্য না করার জন্য
১৯। দুর্গা কীভাবে অপুকে শাস্তি দিয়েছিল?
উত্তরঃ হাতার পিঠে কিল মেরে
২০। অপুর বাবা নতুন জায়গায় যাওয়ার ব্যাপারে কার সাথে পরামর্শ করতে চাইলেন?
উত্তরঃ মজুমদার মহাশয়ের সঙ্গে
২১। দুর্গার হাতে কী ছিল?
উত্তর: দুর্গার হাতে নারিকেলের মালা ছিল, যাতে কচি আম কাটা ছিল।
২১। দুর্গা অপুকে কী করতে বলল?
উত্তর: দুর্গা অপুকে তেল ও নুন আনতে বলল যাতে সে আমের কুশি জারাতে পারে।
২২। দুর্গার বয়স কত ছিল?
উত্তর: দুর্গার বয়স দশ-এগারো বছর ছিল।
২৩। দুর্গার চেহারা কেমন ছিল?
উত্তর: দুর্গার গড়ন পাতলা, রং একটু চাপা, হাতে কাচের চুড়ি, পরনে ময়লা কাপড় এবং চোখ ডাগর ডাগর।
২৪। দুর্গা আমের মালাটা কী করল?
উত্তর: দুর্গা আমের মালাটা খালি করে জঙ্গলের মধ্যে ছুঁড়ে দিল।
২৫। হরিহর কী কাজ করত?
উত্তর: হরিহর গ্রামের অন্নদা রায়ের বাড়িতে গোমস্তার কাজ করত।
২৬। হরিহর কী কারণে দশঘরায় গিয়েছিল?
উত্তর: হরিহর দশঘরায় তাগাদা দেওয়ার জন্য গিয়েছিল।
২৭। হরিহরকে দশঘরায় কে সম্মান দেখাল?
উত্তর: একজন মাতবর লোক হরিহরকে দণ্ডবৎ করে সম্মান দেখাল।
২৮। হরিহরকে কী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল?
উত্তর: তাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যে তিনি যদি তাদের গাঁয়ে উঠে আসেন, তবে জায়গা-জমি দেওয়া হবে।
২৯। দুর্গা কোথায় গিয়ে আম কুড়িয়েছিল?
উত্তর: দুর্গা পটলিদের বাগানে গিয়ে আম কুড়িয়েছিল।
৩০। দুর্গা কোথায় শুকনো রড়া ফলের বিচি জমা করেছিল?
উত্তর: দুর্গা শুকনো রড়া ফলের বিচি আঁচলের খুঁটে জমা করেছিল।
৩১। দুর্গা বিচিগুলো নিয়ে কী করল?
উত্তর: দুর্গা বিচিগুলো গুনে অপুকে দেওয়ার এবং পুতুলের বাক্সে রাখার কথা ভাবল।
৩২। দুর্গা কোথায় দাঁড়িয়ে বিচিগুলো গুনছিল?
উত্তর: দুর্গা উঠানের কাঁঠালতলায় দাঁড়িয়ে বিচিগুলো গুনছিল।
৩৩। ‘রোয়াক’ বলতে কী বোঝানো হয়?
উত্তরঃ ঘরের সামনের খোলা জায়গা বা বারান্দা।
৩৪। ‘চুপড়ি’ কী?
উত্তরঃ ছোটো ঝুড়ি বা ক্ষুদ্র ধামা।
৩৫। ‘নাটাফল’ কোন ফলের আরেক নাম?
উত্তরঃ করঙ্গা ফল।
৩৬। ‘খাপরার কুচি’ কী বোঝায়?
উত্তরঃ কলসি-হাঁড়ি প্রভৃতির ভাঙা অংশ বা টুকরা।
৩৭। ‘পিজরাপোলের আসামি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ খাঁচায় পড়ে থাকা অবহেলিত আসামির মতো অর্থে।
৩৮। ‘আমের কুসি’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ কচি আম।
৩৯। ‘কালমেঘ’ কী কাজে ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ যকৃতের রোগে উপকারী একপ্রকার তিক্ত স্বাদের গাছ।
৪০। ‘গরাদ’ কী?
উত্তরঃ জানালার শিক।
৪১। ‘ভেরেণ্ডাকচার বেড়া’ কী দিয়ে তৈরি?
উত্তরঃ এরন্ড বা রেড়ি গাছের বেড়া।
৪২। ‘রোসো রোসো’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ থাম থাম।
৪৩। ‘আমআঁটির ভেঁপু’ রচনাটি কোন উপন্যাসের অংশ?
উত্তরঃ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথের পাঁচালী উপন্যাসের অংশ।
৪৪। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তরঃ ২৪ পরগনার মুরারিপুর গ্রামে।
৪৫। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কোন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন?
উত্তরঃ বনগ্রাম স্কুল।
৪৬। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কোন কলেজ থেকে বি.এ. ডিগ্রি লাভ করেন?
উত্তরঃ কলকাতা রিপন কলেজ।
৪৭। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মজীবনে কী পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
উত্তরঃ শিক্ষকতা।
৪৮। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কবে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তরঃ ১৯৫০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর।