রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “অপরিচিতা” গল্পে নারীর সম্মান, আত্মসম্মান এবং স্বাধীনতার প্রশ্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে। কল্যাণী তার আদর্শ এবং অবস্থান থেকে কোনোভাবেই পিছপা হয় না। এই পোস্টে অপরিচিতা গল্পের অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর -একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা লিখে দিলাম।
Table of Contents
অপরিচিতা গল্পের অনুধাবন প্রশ্ন
১। অনুপমের বিবাহযাত্রার বর্ণনা দাও।
অপরিচিতা’ গল্পে লেখক ব্যঙ্গরসাত্মক ভাষায় অনুপমের বিবাহযাত্রার বর্ণনা দিয়েছেন।
‘অপরিচিতা’ গল্পে কেন্দ্রীয় চরিত্র অনুপমের বিয়ে ঠিক হয়েছে শম্ভুনাথ সেনের কন্যা কল্যাণীর সাথে। কনেপক্ষের কাছে নিজেদের ধনের অহংকার জাহির করতেই যেন অনুপম ব্যান্ড, বাঁশি, শকের কন্সর্ট প্রভৃতি সমেত যেখানে যত রকম উচ্চ শব্দ আছে, সমস্ত একসঙ্গে মিশিয়ে বর্বর কোলাহলের মত্ত হাতি দিয়ে সংগীত সরস্বতীর পদ্মবন দলিত বিদলিত করে বিয়ের জন্য যাত্রা করে। আংটিতে হারেতে জরি-জহরাতে অনুপমের শরীর এমন হয়েছিল যেন কোনো গহনার দোকান নিলামে চড়েছে বলে মনে হলো। তাদের ভবিষ্যৎ জামাইয়ের মূল্য কত, সেটা সারাদেহে কিছুটা স্পষ্ট করে শ্বশুরের সঙ্গে মোকাবেলা করতে চলেছে। অনুপমের বিবাহযাত্রা ছিল এমনই রুচিহীন ও ব্যঙ্গাত্মক।
২। “কিন্তু ভাগ্য আমার ভালো, এই তো আমি জায়গা পাইয়াছি”- এর অনুভূতির কারণ
এই উক্তিটি অনুপমের সেই অনুভূতিকে প্রকাশ করে, যেখানে সে মনে করে, কল্যাণীর প্রতি তার মনের ভেতর একটি ‘জায়গা’ তৈরি হয়েছে। কল্যাণী তার আশায় বুক বেঁধে রয়েছে, এবং অনুপম মনের মধ্যে একটি জায়গা দখল করে আছে তার প্রতি প্রেম ও আকর্ষণের কারণে। গল্পে কল্যাণীর বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরও অনুপম তার আশেপাশে থেকে থাকে, যেন সে কল্যাণীর হৃদয়ের কোনো একটি স্থান বা জায়গা অর্জন করেছে, যে স্থান সে মনেপ্রাণে দখল করে নিয়েছে। তার এই অনুভূতি মূলত দুঃখবোধ ও আক্ষেপের মিশ্রণ, কারণ তার জীবনে কল্যাণীই ছিল একমাত্র প্রকৃত মঙ্গলকামী নারী।
৩। অনুপমের মামার মন কীভাবে নরম হলো?
অনুপমের মামা তার যৌতুকলোভী মনোভাব নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু যখন তিনি কল্যাণীর পিতা শম্ভুনাথ সেনের আত্মমর্যাদাবোধ ও দৃঢ়চেতনা দেখে, তার মন নরম হয়ে যায়। শম্ভুনাথ সেন তার কন্যার গহনা পরীক্ষা করার জন্য অনুপমের মামার দ্বারা আনা সেকরা (তুলনামূলকভাবে বাজে পরীক্ষা) দেখে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন এবং তৎক্ষণাৎ বিয়ে ভেঙে দেন। শম্ভুনাথ সেনের এই দৃঢ়তা এবং আত্মমর্যাদা দেখে অনুপমের মামা তার ভুল বুঝতে পারেন এবং তার মন নরম হয়ে যায়। এই ঘটনাটি অনুপমের মামার আত্মমর্যাদা ও মূল্যবোধের উপলব্ধি লাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।
৪। অনুপমের মামা সেকরাকে বিয়ে বাড়িতে এনেছিল কেন?
অনুপমের মামা সেকরাকে বিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন কারণ তিনি কল্যাণীর গহনা পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন। তার ধারণা ছিল, কল্যাণীর গহনায় কোনো ধরনের ত্রুটি বা কমতি থাকতে পারে, এবং সে কারণে তিনি সেকরা নিয়ে এসে গহনার মান পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন। শম্ভুনাথ সেনের দৃঢ় প্রতিরোধ এবং তার সম্মানবোধের প্রতি আঘাত হানায় মামা নিজের ভুল বুঝতে পারেন, এবং এর পরেই তিনি নরম হন এবং বিয়ে না হওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নেন।
৫। “আমার ভাগ্যে প্রজাপতির সঙ্গে পঞ্চশরের কোনো বিরোধ নাই”- এর তাৎপর্য
এই উক্তিটির মাধ্যমে অনুপম তার নিজের মনোভাব প্রকাশ করতে চায়, যেখানে সে মনে করে যে তার বিবাহ জীবনে কোনো বাধা নেই। তিনি মনে করেন, প্রজাপতির মতো সুরক্ষা ও সৌন্দর্যের প্রতীক—কথাটি তার জীবনে পুরোপুরি প্রযোজ্য। যখন তার বিয়ে কানপুরে ঠিক হয়, তার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও, সে কল্যাণীকে সরাসরি দেখার সুযোগ পায় না। এর মাধ্যমে অনুপম মনে করে, বিবাহ দেবতা তার প্রতি সদয়, কারণ সে কিছুই না জানলেও, তার ভাগ্যে কল্যাণীকে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৬। “ঠাট্টার সম্পর্কটাকে স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই”- উক্তিটি কোন প্রসঙ্গে করা হয়েছে?
এই উক্তিটি কল্যাণীর পিতা শম্ভুনাথ সেন তার নিজের আত্মসম্মান রক্ষার জন্য অনুপমের মামাকে উদ্দেশ্য করে বলেন। বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগে, অনুপমের মামা কল্যাণীর গহনা পরীক্ষা করতে সেকরা নিয়ে আসেন, যা শম্ভুনাথ সেনের কাছে অত্যন্ত অশোভন এবং অপমানজনক ছিল। তিনি উপলব্ধি করেন যে, বরপক্ষের এই ধরনের মানসিকতা তাঁর কন্যার জন্য অপমানজনক। এই কারণে শম্ভুনাথ সেন কৌশলে বরপক্ষকে বিদায় জানান, এবং মামার কথার প্রতি তার প্রত্যুত্তর হিসেবে তিনি উক্তিটি করেন—এটি একধরনের আক্রমণ ও প্রতিবাদ।
৭। “অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছোট ভাইটি” বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
এই উক্তিটি অনুপমকে ব্যঙ্গ করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। ‘অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছোট ভাইটি’ বলতে আসলে অনুপমের অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা এবং পিতৃতন্ত্রের প্রতি তার অবিচল আনুগত্যকে বোঝানো হয়েছে। গজানন বা কার্তিকেয় ছোট ছিলেন, আর মাতৃস্নেহে বড় ছিলেন—এমন তুলনা দিয়ে অনুপমের চরিত্রকে প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে সে কোনো ধরনের উদ্যোগ বা শক্তি প্রদর্শন করতে পারে না এবং তার জীবনে পরিপূর্ণ ব্যক্তিত্বের অভাব রয়েছে। তিনি যেন একজন শিশুর মতো, যার কোনো স্বাতন্ত্র্য নেই এবং মায়ের কোলেই আশ্রয় খুঁজে।
৮। “ভালো-মানুষ হওয়ার কোনো ঝঞ্ঝাট নেই” ব্যাখ্যা কর।
এই উক্তিটি অনুপমের জীবনধারা ও চরিত্রের সাদাসিধা প্রকৃতি প্রতিফলিত করে। অনুপম এমন একজন মানুষ যিনি ভালো-মানুষ হওয়ার কোনো বিশেষ প্রয়াস করেন না, কারণ তার মধ্যে কোনো খারাপ অভ্যাস বা নেতিবাচক দিক নেই। তার জন্য ভালো-মানুষ হওয়া এমন একটি ব্যাপার, যা সে স্বাভাবিকভাবেই হয়ে থাকে—সে মাদকাসক্ত নয়, তামাক খায় না, এবং বড়দের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই তার কাছে ভালো-মানুষ হওয়ার কোনো অতিরিক্ত ঝামেলা বা কঠিনতা নেই। এটি আসলে অনুপমের সহজ সরল জীবনধারা ও তার ব্যক্তিত্বের অনুপম বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরে।
৯। কল্যাণীর ‘মাতৃআজ্ঞা’র ধরন আলোচনা কর
কল্যাণীর ‘মাতৃআজ্ঞা’ হলো দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করা। শম্ভুনাথ সেনের সঙ্গে বিয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অনুপমের মামার অর্থলোভী মনোভাব দেখে কল্যাণী তার ভবিষ্যৎ জীবন সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনে। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর কল্যাণী পুরুষতান্ত্রিক সমাজের প্রতি তীব্র ঘৃণা অনুভব করে এবং সিদ্ধান্ত নেয় যে, সে বিয়ে করবে না। দেশমাতৃকার সেবা, বিশেষত মেয়েদের শিক্ষা ও উন্নতির জন্য নিজেকে নিবেদিত করার ব্রত গ্রহণ করে। এর মাধ্যমে সে সমাজের অনুচিত পরম্পরা ও সামাজিক অসঙ্গতিগুলোর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে, একটি শক্তিশালী ও স্বাধীন ব্যক্তিত্বের চিহ্ন রাখে।
অপরিচিতা গল্পের অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর
১০। “ঠাট্টা তো আপনিই করিয়া সারিয়াছেন”- বুঝিয়ে দাও।
শম্ভুনাথ সেন অনুপমের মামাকে আলোচ্য কথাটি বলেন। কল্যাণীর বাবা শম্ভুনাথ সেন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন মানুষ। তিনি কন্যার বিয়েতে বরপক্ষের চাহিদার অতিরিক্ত গহনা কন্যাকে দিয়েছিলেন। কিন্তু অনুপমের মামা কন্যার সব গয়না সেকরা দ্বারা পরীক্ষা করান এবং গয়নার একটি তালিকা প্রস্তুত করেন যাতে করে পরবর্তী সময়ে গয়নার কোনো হেরফের না হয়। অনুপমের মামার এ ধরনের আচরণে শম্ভুনাথ সেনের ব্যক্তিত্বে তীব্র আঘাত লাগে। তাই কৌশলে তিনি সবাইকে রাতের খাবার খাইয়ে দেন এবং বরপক্ষকে গাড়ি ডাকার কথা বলেন। এমন আচরণ দেখে অনুপমের মামা শম্ভুনাথ সেনকে বলেন, ‘ঠাট্টা করিতেছেন নাকি?’ অনুপমের মামার প্রশ্নের প্রতিউত্তরে শম্ভুনাথ সেন প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেন।
১১। “ওহে, মেয়ে যদি বল একটি খাসা মেয়ে আছে।” কে, কী প্রসঙ্গে এই উক্তিটি করেছিলেন?
এই উক্তিটি অনুপমের বন্ধু হরিশ করেছিলেন। হরিশ কলকাতায় আসেন ছুটিতে, এবং অনুপমের সঙ্গে তার বিয়ের প্রসঙ্গে কথোপকথন হয়। অনুপমের বয়স ২৭, এবং তার জীবন বেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রিত—তার মামা, মা, সবকিছুই তাকে ঘিরে রেখেছে। বিয়ের প্রসঙ্গে হরিশ jokingly বলেন যে, “ওহে, মেয়ে, যদি বল একটি খাসা মেয়ে আছে।” এর মাধ্যমে হরিশ অনুপমের ভবিষ্যৎ বিয়ের ব্যাপারে মন্তব্য করেন এবং কিছুটা মজা করেন।
১২। মামা সেকরাকে বিয়ে বাড়িতে কেন এনেছিল?
মামা সেকরাকে বিয়ে বাড়িতে এনেছিল গহনার খাঁটি বা নকল হওয়া যাচাই করার জন্য। শম্ভুনাথ সেন কন্যার বিয়েতে নগদ পণের সঙ্গে কিছু গহনা দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু অনুপমের মামা সন্দেহ করেছিলেন যে, গহনা হয়তো সত্যি নয় বা এর মধ্যে কোনো ত্রুটি থাকতে পারে। তাই তিনি সেকরা নিয়ে আসেন, যিনি গহনা পরীক্ষা করে তার আসলত্ব নিশ্চিত করেছিলেন। এই ঘটনা পুরোপুরি শম্ভুনাথ সেনের আত্মসম্মানকে আঘাত করে, কারণ এটি ছিল বরপক্ষের কৃচ্ছতাবোধ এবং অসহিষ্ণু মনোভাবের প্রকাশ।
১৩। গোড়াতেই এস্পার-ওপার হতো কেন? ব্যাখ্যা কর।
এস্পার-ওপার বা বিবাদ গোড়াতেই হতো যদি শম্ভুনাথ বাবুর উকিল বন্ধুটি বরপক্ষের প্রতি বিশেষ খাতির না করতেন। শম্ভুনাথ বাবুর এক সময় প্রচুর অর্থ থাকলেও বর্তমানে তার আর্থিক অবস্থান ততটা ভালো ছিল না। বরপক্ষ তাদের উচ্চতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ আয়োজনের প্রত্যাশা করেছিল, কিন্তু শম্ভুনাথ সেনের অবস্থান অনুযায়ী আয়োজন ছিল সীমিত এবং মাঝারি মানের। ফলে, উকিল বন্ধুটি যদি বরপক্ষকে যথাযথ সম্মান না জানাতেন, তবে বিয়েটি শুরুতেই তীব্র বিরোধের সম্মুখীন হতো।
১৪। ধনীর কন্যা অনুপমের মামার পছন্দ নয় কেন?
ধনীর কন্যা অনুপমের মামার পছন্দ নয়, কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে ধনী পরিবারের মেয়েরা সংসারে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং তারা স্বামীর সংসারে ন্যায্য অধিকার চায়। মামা মনে করেন, ধনী মেয়েরা সংসারের চাহিদা এবং অপমান সহ্য করতে পারবেন না, কারণ তারা পারিবারিক মর্যাদা ও সম্মান নিয়ে অনেক বেশি সচেতন থাকে। তিনি এমন একটি মেয়ে চান, যিনি সহজেই সংসারের সমস্ত কষ্ট সহ্য করবেন এবং নিজেকে দমন করবেন। গরিবের মেয়েরা এই কারণেই তার পছন্দ—তারা নিরবভাবে সব কিছু সহ্য করবে।
১৫। মেয়ের বয়স পনেরো শুনে অনুপমের মামার মন ভার হলো কেন?
মেয়ের বয়স পনেরো শুনে অনুপমের মামার মন ভার হয়ে যায়, কারণ সে সময়কার সামাজিক রীতিতে আট থেকে দশ বছর বয়সের মধ্যে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া সাধারণ ছিল। যদি ১৫ বছর বয়সেও মেয়ের বিয়ে না হত, তখন তার পরিবারে কোনো ধরনের শংকা বা দোষের ইঙ্গিত পাওয়া যেত। মামা মনে করেন যে, কল্যাণীর বয়স যদি ১৫ হয়, তবে তার বংশে কোনো না কোনো সমস্যা থাকতে পারে, যা সম্ভবত তার বিয়েতে বিলম্ব ঘটানোর কারণ। এটি ছিল সেই সময়কার সমাজের একটি নেতিবাচক মনোভাব।
১৬। কোনো কিছুর জন্যই অনুপমকে কোনো ভাবনা ভাবতে হয় না কেন?
অনুপমকে কোনো কিছুর জন্য ভাবনা ভাবতে হয় না, কারণ তার জীবনের সমস্ত দায়িত্ব তার মামা বহন করেন। তার বাবা বেঁচে নেই, এবং মা থাকলেও তার আসল অভিভাবক মামাই। মামা সংসারের সব কিছু পরিচালনা করেন এবং নিজের বিচক্ষণতার মাধ্যমে তিনি অনুপমের জীবন ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রেখেছেন। মামার ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হওয়ার কারণে, অনুপমের জন্য কোনো কিছু চিন্তা করার বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
১৭। কল্যাণীর পিতার আর্থিক অবস্থা ব্যাখ্যা কর।
কল্যাণীর পিতার আর্থিক অবস্থা অপ্রতুল ছিল। পূর্বপুরুষদের আমলে তার পরিবার প্রাচুর্যপূর্ণ ছিল, তবে বর্তমান অবস্থায় তার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। শম্ভুনাথ সেনের পূর্বপুরুষদের সময় বংশের সম্পদ ছিল, কিন্তু এখন তা নিঃশেষ হয়ে গেছে, যদিও কিছু সামান্য বাকি ছিল। তিনি পশ্চিমে গিয়ে বসবাস করছেন, এবং সেখানে তিনি গরিব গৃহস্থের মতো জীবন যাপন করছেন। তার আর্থিক অবস্থা এতটাই দুর্বল ছিল যে, মেয়ে বিয়ের জন্য কিছু খোঁজার বা সামাজিক সম্মান রক্ষার জন্য প্রাচীন ঐতিহ্য ও মর্যাদাকে ত্যাগ করেছেন।
Related Posts
- আঠারো বছর বয়স কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর -একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
- ঐকতান কবিতার প্রতি লাইনের ব্যাখ্যা – একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
- আঠারো বছর বয়স কবিতার ব্যাখ্যা – একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
- প্রতিদান কবিতার মূলভাব বা পাঠ পরিচিতি সহজ ভাষায়
- মানব কল্যাণ মূলভাব বা মূল বিষয়বস্তু – একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
- মাসি পিসি গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (জ্ঞানমূলক প্রশ্ন)- একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
- তাহারেই পড়ে মনে কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর -একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
- প্রতিদান কবিতার ব্যাখ্যা ও মূলভাব – একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
- বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর – একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
- রেইনকোট গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর – একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা