শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পটি একটি মর্মস্পর্শী রচনা। গল্পটি মূলত একটি কুকুরের সাথে লেখকের সম্পর্ক এবং সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতিফলন নিয়ে গড়ে উঠেছে। গল্পের মূল বিষয়বস্তু এবং চরিত্রগুলির মাধ্যমে শরৎচন্দ্র সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মানবিক সম্পর্কের গভীরতা ফুটিয়ে তুলেছেন। এই পোস্টে অতিথির স্মৃতি গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর লিখে দিলাম।
অতিথির স্মৃতি গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১। লেখক কেন দেওঘরে এসেছিলেন?
উত্তরঃ চিকিৎসকের পরামর্শে বায়ু পরিবর্তনের জন্য।
২। লেখক কোথায় থাকতেন?
উত্তরঃ একটি প্রাচীরঘেরা বাগানের মধ্যে বড় বাড়িতে থাকতেন।
৩। লেখক প্রতিদিন সকালে কী দেখতেন?
উত্তরঃ পাখিদের আনাগোনা এবং তাদের ডাক শুনতেন।
৪। সবচেয়ে ভোরে কোন পাখি ডাকত?
উত্তরঃ দোয়েল পাখি সবচেয়ে ভোরে ডাকত।
৫। হলদে রঙের বেনে বৌ পাখি কখন আসত?
উত্তরঃ একটু দেরি করে আসত।
৬। বেনে বৌ পাখি কোথায় বসত?
উত্তরঃ ইউক্যালিপটাস গাছের উঁচু ডালে বসত।
৭। লেখক কেন বেনে বৌ পাখির অনুপস্থিতিতে চিন্তিত হন?
উত্তরঃ কারণ তিনি ভেবেছিলেন যে ব্যাধেরা হয়তো পাখিটিকে ধরেছে।
৮। লেখক বিকালে কোথায় বসতেন?
উত্তরঃ গেটের বাইরে পথের ধারে বসতেন।
৯। লেখক পথে কী দেখতেন?
উত্তরঃ মধ্যবিত্ত গৃহস্থের ঘরে পীড়িত মেয়েদের দেখতেন।
১০। পীড়িত মেয়েদের মধ্যে কোন রোগটি সাধারণ ছিল?
উত্তরঃ বেরিবেরি রোগ।
১১। লেখক একটি দরিদ্র মেয়েকে দেখে কী অনুভব করতেন?
উত্তরঃ তার দুঃখ হতো এবং তিনি মেয়েটির ক্লান্ত চোখের চাহনি দেখে ব্যথিত হতেন।
১২। লেখক কুকুরটিকে প্রথম কোথায় দেখেন?
উত্তরঃ রাতে বেড়াতে গিয়ে পথের ধারে দেখেন।
১৩। ভজন কী?
উত্তরঃ ভজন হলো ঈশ্বর বা দেবদেবীর স্তুতি বা মহিমাকীর্তন, যা প্রার্থনামূলক গান হিসেবে গাওয়া হয়।
১৪। লেখক কুকুরটিকে কী নাম দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ ‘অতিথি’ নাম দিয়েছিলেন।
১৫। লেখক কুকুরটিকে কোথায় খেতে দিতেন?
উত্তরঃ বারান্দার নিচে উঠানে খেতে দিতেন।
১৬। মালিনী কুকুরটির সাথে কীভাবে আচরণ করত?
উত্তরঃ মালিনী কুকুরটিকে পছন্দ করত না এবং তাকে খাবার দিতে বাধা দিত।
১৭। লেখক কুকুরটিকে খাওয়ানোর জন্য কী করতেন?
উত্তরঃ তিনি চাকরদের নির্দেশ দিতেন কুকুরটিকে খেতে দিতে।
১৮। কুকুরটি কেন বাড়ির ভেতরে ঢুকতে ভয় পেত?
উত্তরঃ কারণ মালিনী তাকে তাড়িয়ে দিত।
১৯। লেখক কুকুরটিকে শেষবার কোথায় দেখেন?
উত্তরঃ স্টেশনের ফটকের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন।
২০। লেখক কুকুরটিকে ছেড়ে যাওয়ার সময় কী অনুভব করেছিলেন?
উত্তরঃ দেওঘরে থাকার দিনগুলির একটি স্মৃতি হিসেবে মনে রাখবেন।
২১। গল্পের মূল বার্তা কী?
উত্তরঃ মানবিকতা, সহানুভূতি, এবং প্রকৃতির সাথে মানুষের সম্পর্কের গুরুত্ব।
২২। লেখক কুকুরটিকে কীভাবে ডাকতেন?
উত্তরঃ ‘অতিথি’ বলে ডাকতেন।
২৩। কুকুরটি লেখকের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করত?
উত্তরঃ ল্যাজ নাড়িয়ে যোগাযোগ করত।
২৪। লেখক কুকুরটিকে কী প্রশ্ন করতেন?
উত্তরঃ তিনি জিজ্ঞাসা করতেন, “খাওয়া হয়েছে তো রে? কী খেলি আজ?”
২৫। কুকুরটি লেখকের ঘরে কখন এসেছিল?
উত্তরঃ দুপুরবেলা যখন চাকরেরা ঘুমিয়েছিল।
২৬। কুঞ্জ কী?
কুঞ্জ হলো লতাপাতায় আচ্ছাদিত বৃত্তাকার স্থান, যা উপবন হিসেবে পরিচিত।
২৭। লেখক কুকুরটিকে কীভাবে সাহায্য করেছিলেন?
উত্তরঃ তাকে খাবার দিয়ে এবং মালিনীর আচরণ থেকে রক্ষা করে।
২৮। লেখক কুকুরটিকে ছেড়ে যাওয়ার সময় কী বলেছিলেন?
উত্তরঃ তিনি বলেছিলেন, “আজ তুই খেয়ে যাবি, না খেয়ে যাসনে বুঝলি?”
২৯। বেরিবেরি রোগ কী?
উত্তরঃ বেরিবেরি হলো বি ভিটামিনের অভাবে হাত-পা ফুলে যাওয়া রোগ।
৩০। ‘দেওঘরের স্মৃতি’ নাম পরিবর্তন করে কী রাখা হয়েছে?
উত্তরঃ গল্পটির নাম পরিবর্তন করে ‘অতিথির স্মৃতি’ রাখা হয়েছে।
৩১। লেখক কুকুরটিকে কীভাবে স্মরণ করতেন?
উত্তরঃ কুকুরটির সাথে দেওঘরে থাকার দিনগুলির একটি স্মৃতি হিসেবে স্মরণ করতেন।
৩২। লেখক কুকুরটিকে কীভাবে দেখতেন?
উত্তরঃ তিনি কুকুরটিকে একজন অতিথি এবং বন্ধুর মতো দেখতেন।
৩৩। মালিনী কে?
উত্তরঃ মালিনী হলো মালির স্ত্রী।
৩৪। দোর শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ দোর শব্দের অর্থ দুয়ার বা দরজা, যা বাড়ির ফটক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৩৫। আসামি শব্দটি সাধারণত কী বোঝায়?
উত্তরঃ আসামি শব্দটি সাধারণত আদালতে কোনো অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বোঝায়।
৩৬। পাণ্ডুর শব্দটি এখানে কী বোঝায়?
উত্তরঃ পাণ্ডুর শব্দটি এখানে রোগাক্রান্তদের বোঝায়, যাদের ফ্যাকাশে বা অসুস্থ দেখায়।
৩৭। মালি কে?
উত্তরঃ মালি হলো মালা রচনাকারী বা মালাকর, যিনি বেতনের বিনিময়ে বাগানের কাজে নিযুক্ত হন।
৩৮। ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখক কে?
উত্তর: গল্পের লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
৩৯। ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পটির মূল নাম কী ছিল?
উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের গল্পটির মূল নাম ছিল ‘দেওঘরের স্মৃতি’।
৪০। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম কত সালে?
উত্তরঃ ১৮৭৬ সালে।
৪১। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম কোথায় হয়েছিল?
উত্তরঃ পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে হয়েছিল।
৪২। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কৈশোর ও যৌবনের অধিকাংশ সময় কোথায় কাটে?
উত্তরঃ ভাগলপুরের মাতুলালয়ে কাটে।
৪৩। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কখন রেঙ্গুন যাত্রা করেন?
উত্তরঃ ১৯০৩ সালে।
৪৪। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম সাহিত্যিক সাফল্য কোন গল্পের মাধ্যমে আসে?
উত্তরঃ ‘বড়দিদি’ গল্পের মাধ্যমে।
৪৫। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন পুরস্কার লাভ করেন?
উত্তরঃ তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক লাভ করেন।
৪৬। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন উপাধি লাভ করেন?
উত্তরঃ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট উপাধি লাভ করেন।
৪৭। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয় কত সালে?
উত্তরঃ তাঁর মৃত্যু ১৯৩৮ সালে কলকাতায় হয়।
৪৮। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কোথায় মৃত্যু হয়?
উত্তরঃ তাঁর মৃত্যু কলকাতায় হয়।