সুচেতনা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

“সুচেতনা” কবিতাটি জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’ (১৯৪২) কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে। কবিতায় সুচেতনা চেতনাগত সত্য। কবি এই চেতনাকে দূরতম দ্বীপসদৃশ হিসেবে কল্পনা করেছেন, যা পৃথিবীর রক্তক্ষয়, যুদ্ধ, এবং ব্যাধিকে অতিক্রম করে মানুষের জন্য জীবন্ময় শক্তি নিয়ে আসে। এই পোস্টে সুচেতনা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর লিখে দিলাম।

সুচেতনা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর

১। জীবনানন্দ দাশ কবে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৮৯৯ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি।

২। জীবনানন্দ দাশ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: বরিশালে।

৩। জীবনানন্দ দাশের পিতার নাম কী?
উত্তর: সত্যানন্দ দাশ।

৪। জীবনানন্দ দাশের মায়ের নাম কী?
উত্তর: কুসুমকুমারী দাশ।

৫। জীবনানন্দ দাশের মা কী ছিলেন?
উত্তর: সেকালের বিখ্যাত কবি।

৬। জীবনানন্দ দাশ কবিতা লেখার প্রেরণা কোথা থেকে পেয়েছিলেন?
উত্তর: মায়ের কাছ থেকে।

৭। জীবনানন্দ দাশ মূলত কোন পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
উত্তর: ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক।

৮। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনানন্দ দাশের কবিতাকে কী বলে আখ্যায়িত করেছেন?
উত্তর: “চিত্ররূপময়”।

৯। বুদ্ধদেব বসু জীবনানন্দ দাশকে কী নামে আখ্যায়িত করেছেন?
উত্তর: ‘নির্জনতম কবি’।

১০। জীবনানন্দ দাশের নিসর্গবিষয়ক কবিতা কী অনুপ্রাণিত করেছিল?
উত্তর: বাঙালির জাতিসত্তা বিকাশ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ।

১১। জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
উত্তর: ‘ঝরা পালক’।

১২। জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুর কারণ কী ছিল?
উত্তর: ট্রাম দুর্ঘটনা।

১৩। জীবনানন্দ দাশ কবে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ১৯৫৪ সালের ২২শে অক্টোবর।

১৪। “সুচেতনা” কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত?
উত্তর: “সুচেতনা” কবিতাটি জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত।

১৫। সুচেতনা কী?
উত্তর: সুচেতনা শুভ চেতনার প্রতীক।

১৬। কবির কল্পনায় সুচেতনার অবস্থান কোথায়?
উত্তর: সুচেতনা দ্বীপের মতো বিচ্ছিন্ন।

১৭। সুচেতনার সবুজে কী বিরাজ করছে?
উত্তর: সুচেতনার সবুজে নির্জনতা বিরাজ করছে।

১৮। “সুচেতনা” কবিতায় পৃথিবীর শেষ সত্য কী নয়?
উত্তর: ধ্বংসাত্মক দিক পৃথিবীর শেষ সত্য নয়।

১৯। “সুচেতনা” কবিতায় পৃথিবীতে কী কী সংঘটিত হয়েছে?
উত্তর: পৃথিবীতে যুদ্ধ, রক্তপাত ও প্রাণহানি সংঘটিত হয়েছে।

২০। “সুচেতনা” কবিতায় শুভ চেতনার আলো কী ঘটাবে?
উত্তর: শুভ চেতনার আলো পৃথিবী ও মানুষের মুক্তি ঘটাবে।

২১। পৃথিবীর গভীর অসুখ থেকে মুক্তির পথ কী?
উত্তর: শুভ চেতনার বিকাশ।

২২। “সুচেতনা” কবিতায় কবি পৃথিবীতে জন্ম নেওয়াকে কীভাবে দেখেছেন?
উত্তর: কবি পৃথিবীতে জন্ম নেওয়াকে আপাতভাবে কাঙ্ক্ষিত মনে করেননি।

২৩। পৃথিবী ও শুভ চেতনার থেকে কী শেখা যায়?
উত্তর: পৃথিবী ও শুভ চেতনার থেকে প্রাপ্তি আমাদের প্রাণিত ও ঋণী করে।

২৪। কবির মতে ভালোবাসার পরিণামে পৌঁছাতে কী পাড়ি দিতে হয়?
উত্তর: রক্তাক্ত পথ।

২৫। কবি অন্ধকারের অন্তরালে কী দেখেছেন?
উত্তর: সূর্যোদয় ও মুক্তির দিশা।

২৬। কবির মতে পৃথিবীর গভীর অসুখ কী বোঝায়?
উত্তর: পৃথিবীব্যাপ্ত বিপর্যয়।

২৭। “সুচেতনা” কবিতায় কবি কী বিশ্বাস করেন?
উত্তর: সুচেতনার বিকাশেই আলোকজ্জ্বল পৃথিবীর দেখা মিলবে।

২৮। মানবসমাজের অগ্রযাত্রা কী নিশ্চিত করবে?
উত্তর: সুচেতনার আলো।

২৯। “সুচেতনা” কবিতায় কবি কী অনুভব করেছেন?
উত্তর: পৃথিবীতে না এলেই ভালো হতো।

৩০। “সুচেতনা” কবিতায় কবি কীভাবে পৃথিবীতে আসার লাভ বুঝেছেন?
উত্তর: শিশির শরীর ছুঁয়ে সমুজ্জ্বল ভোরে।

৩১। পৃথিবীর শুভ চেতনা কী প্রকাশ করবে?
উত্তর: শাশ্বত রাত্রির বুকে অনন্ত সূর্যোদয়।

৩২। সুচেতনার আলো কীসের প্রতীক?
উত্তর: মুক্তি ও কল্যাণের।

৩৩। পৃথিবীর ক্রমমুক্তির জন্য কী প্রয়োজন?
উত্তর: সুচেতনার বিকাশ।

আরও পড়ুনঃ সুচেতনা কবিতার অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর

Related Posts

Leave a Comment