শওকত আলীর রচিত ‘কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ’ গল্পের মূলভাব হলো একজন বৃদ্ধ সাঁওতাল কপিলদাস মুর্মুর সংগ্রামী চরিত্রের মধ্য দিয়ে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ভূমির প্রতি অগাধ ভালোবাসা এবং অস্তিত্ব রক্ষার আপসহীন লড়াইয়ের চিত্র তুলে ধরা। এই পোস্টে কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর লিখে দিলাম।
কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১। শওকত আলী কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।
২। শওকত আলী কবে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: তিনি ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।
৩। শওকত আলীর বাবার নাম কী?
উত্তর: তাঁর বাবার নাম খোরশেদ আলী সরদার।
৪। শওকত আলীর মায়ের নাম কী?
উত্তর: মায়ের নাম মোসাম্মত সালেমা খাতুন।
৫। শওকত আলী কবে পূর্ব পাকিস্তানের দিনাজপুরে চলে আসেন?
উত্তর: ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে।
৬। শওকত আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন বিষয়ে এমএ পাস করেন?
উত্তর: বাংলা বিষয়ে।
৭। শওকত আলী কত খ্রিষ্টাব্দে একুশে পদক পেয়েছেন?
উত্তর: ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে একুশে পদক পেয়েছেন।
৮। শওকত আলী কত খ্রিষ্টাব্দে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান?
উত্তর: তিনি ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান।
৯। শওকত আলী কবে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: তিনি ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
১০। শওকত আলী কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
১১। ‘কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ’ গল্পটি কে লিখেছেন?
উত্তর: শওকত আলী।
১২। কপিলদাস মুর্মু কে?
উত্তর: কপিলদাস মুর্মু একজন বৃদ্ধ সাঁওতাল।
১৩। সাঁওতালদের জন্য ভূমি কী?
উত্তর: ভূমি সাঁওতালদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং তাদের অস্তিত্বের প্রতীক।
১৪। কপিলদাসের বয়সের প্রভাব কীভাবে গল্পে উঠে এসেছে?
উত্তর: বয়সের ভারে তিনি নুয়ে পড়লেও ভূমি রক্ষার জন্য সাহসী হয়ে ওঠেন।
১৫। কপিলদাসের লড়াইয়ের উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর: নিজের বসতভিটা রক্ষা করা।
১৬। সমাজের অন্যরা কপিলদাসকে কীভাবে দেখত?
উত্তর: তারা তাকে অক্ষম এবং অপ্রয়োজনীয় মনে করত।
১৭। কারা কপিলদাসের প্রতি আগ্রহ দেখাত?
উত্তর: শিশুরা।
১৮। শিশুরা কপিলদাসকে কেন পছন্দ করত?
উত্তর: তারা তার বীরত্বের গল্প শুনে মুগ্ধ হত।
১৯। কপিলদাসের হাতে কী ছিল?
উত্তর: তির-ধনুক।
২০। কপিলদাস কীভাবে শত্রুর সঙ্গে লড়াই করলেন?
উত্তর: একের পর এক তির ছুড়ে।
২১। কপিলদাস কীসের প্রতীক হয়ে ওঠেন?
উত্তর: সাঁওতাল জাতির অস্তিত্ব রক্ষার প্রতীক।
২২। কপিলদাসের লড়াই কী শিক্ষা দেয়?
উত্তর: লড়াই করার জন্য বয়স কোনো বাধা নয়।
২৩। ‘কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ’ গল্পের শেষে লেখকের বার্তা কী?
উত্তর: নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য মানুষ শেষ পর্যন্ত লড়াই করে।
২৪। গল্পে কপিলদাসের অতীত জীবনের কী উল্লেখ আছে?
উত্তর: তার অতীতের বীরত্বগাথা, যা কিছু সত্য এবং কিছু কল্পনা।
২৫। ‘কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ’ গল্পের ভাষার বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: সাঁওতালি কথনভঙ্গি ও শব্দ যোজনা।
২৬। ‘কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ’ গল্পের প্রেক্ষাপট কী?
উত্তর: সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ভূমি রক্ষার সংগ্রাম।
২৭। গল্পে কপিলদাসকে সমাজ কীভাবে মূল্যায়ন করে?
উত্তর: তাকে অপ্রয়োজনীয় এবং অক্ষম মনে করে।
২৮। কপিলদাসের লড়াইয়ে কী প্রমাণিত হয়?
উত্তর: সাহস আর আত্মত্যাগ দিয়ে অনেক কিছু জয় করা সম্ভব।
২৯। কপিলদাসের লড়াইয়ে কারা প্রেরণা জোগায়?
উত্তর: শিশুরা।
৩০। ‘কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ’ গল্পে শত্রু কারা?
উত্তর: যারা সাঁওতালদের ভূমি দখল করতে চায়।
৩১। কপিলদাস কীভাবে নিজের বয়সকে অতিক্রম করেন?
উত্তর: লড়াইয়ের সময় তিনি নিজের বয়স ভুলে যান।
৩২। গল্পে কপিলদাসের চরিত্র কী বোঝায়?
উত্তর: আত্মত্যাগী সংগ্রামশীলতা।
৩৩। কপিলদাসকে কী বলে তুচ্ছ করা হয়?
উত্তর: ‘তুই বুঢ়া মানুষ, তুই কিছু করতে পারবি না।’
৩৪। ‘কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ’ গল্পের মূল প্রতিপাদ্য কী?
উত্তর: ভূমি রক্ষার সংগ্রামে আত্মত্যাগ।
৩৫। সাঁওতালদের ভূমি রক্ষার ঐতিহ্য কেমন?
উত্তর: রক্তে রঞ্জিত ও গৌরবময়।
৩৬। কপিলদাসের গল্পে কী ধরনের আশা ফুটে ওঠে?
উত্তর: লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আশা।
৩৭। গল্পে কপিলদাসের মৃত্যু কীভাবে চিত্রিত?
উত্তর: আত্মত্যাগী বীর হিসেবে।
৩৮। ‘কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ’ গল্পটি কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া?
উত্তর: ‘লেলিহান সাধ’ গ্রন্থ থেকে।
৩৯। মুর্মু শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: মুর্মু শব্দের অর্থ নীল গাভি।
৪০। মুর্মু গোত্রের গোত্র-চিহ্ন কী?
উত্তর: মুর্মু গোত্রের গোত্র-চিহ্ন হলো নীল গাভি।
৪১। মুর্মু গোত্রের নাম কেন হলো?
উত্তর: একবার একটি নীল গাভি সর্দারকে মেরে ফেলেছিল, তারপর তার গোত্রের নাম মুর্মু রাখা হয়।
৪২। টাঙন কী?
উত্তর: টাঙন হলো পাহাড়ি জলাধারবিশেষ।
৪৩। কান্দর কী?
উত্তর: কান্দর হলো নিচু স্থান, সাধারণত খালের অংশবিশেষ।
৪৪। পুশনা কী?
উত্তর: পুশনা হলো বিশেষ পুজোর আয়োজন, যা পৌষ-সংক্রান্তিতে অনুষ্ঠিত হয়।
৪৫। হাপন কী?
উত্তর: হাপন হলো বালক।
৪৬। মান্দল কী?
উত্তর: মান্দল হলো মাদল, এক ধরনের তালবাদ্য।
৪৭। পসরা কী?
উত্তর: পসরা হলো পণ্যসম্ভার, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শিত দ্রব্য।
৪৮। ভাঁট কী?
উত্তর: ভাঁট হলো এক ধরনের বুনো ফুলবিশেষ।
৪৯। নাগরদোলা কী?
উত্তর: নাগরদোলা হলো একটি যন্ত্র, যাতে ছোট খোপ থাকে এবং তা ওপর থেকে নিচে ঘুরানো যায়।
৫০। জাড় কী?
উত্তর: জাড় হলো শীত বা ঠান্ডা।
৫১। আধিয়ার কী?
উত্তর: আধিয়ার হলো বর্গাদার, যারা অন্যের জমিতে হাল চাষ করে এবং উৎপাদিত ফসলের অংশ মালিককে দেয়।
৫২। জোতদার কী?
উত্তর: জোতদার হলো জমিদারদের কাছ থেকে জমি ইজারা নেওয়া ব্যক্তি, যারা জমির চাষ তদারকি এবং খাজনা আদায় করত।
আরও পড়ুনঃ কপিলদাস মুর্মুর শেষ কাজ অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর